দৈনিক একটা করে আম খান

এখন আমের জমজমাট মৌসুম। মৌসুমি এ ফলটির গুণের কোনও নেই সীমা। এটি শরীরের খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। রোগমুক্ত জীবনের জন্য তাই দৈনিক একটা করে আম খান। চলুন লাইফস্টাইল ম্যাগাজিন বোল্ডস্কাই অবলম্বনে জেনে নেই আমে কোন ধরনের স্বাস্থ্যগুণ আছে।

অ্যাজমা প্রতিরোধ করে

শরীরে ভিটামিন সি এর মাত্রা বৃদ্ধি পেলে অ্যাজমা প্রতিরোধে সহায়তা করে। আমে যেহেতু প্রচুর ভিটামিন সি আছে, তাই এটি খেলে অ্যাজমা রোগের প্রতিরোধ করে।

গর্ভবতী নারীদের জন্য উপকারী

আমের মধ্যে থাকা আয়রন, ভিটামিন এ, সি এবং বি৬ গর্ভবতী নারীদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ফলে গর্ভাবস্থায় কোনও ধরনের শারীরিক সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে ওঠার আশঙ্কা যায় কমে।

ব্রণের প্রকোপ কমে

ত্বকের পরিচর্যায় এই ফলটিকে কাজে লাগালে ব্রণের সমস্যা তো কমেই, সেই সঙ্গে স্কিন টোনেরও উন্নতি ঘটে। তাই আম দিয়ে বানানো ফেস মাস্ক ব্যবহার করুন।

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে

আমের মধ্যে থাকা বিটা-ক্যারোটিন এবং ক্যারোটেনয়েড শরীরে প্রবেশ করার পর রোগ প্রতিরোধী ব্যবস্থাকে শক্তিশালী করে তোলে। এতে আপনার শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে

হজমে সহায়ক

আমে থাকে একটি বিশেষ ধরনের এনজাইম যা খাবার হজমে সহায়তা করে। আমের মধ্যে থাকা ফাইবার ও বিপাকক্রিয়ায় সাহায্য করে।

দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়

আমে আছে ভিটামিন এ, এটি আপনার দৃষ্টিশক্তির উন্নতি ঘটায়।

খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে

আমে উপস্থিত ফাইবার, পেকটিন এবং ভিটামিন সি শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে। সেই সঙ্গে হৃদযন্ত্রের স্বাস্থ্যের উন্নতিতেও বিশেষ ভূমিকা রাখে।

ত্বকের যত্নে

সপ্তাহে ৩-৪ বার আমের রস দিয়ে যদি ভাল করে ত্বকের মাসাজ করা যায়, তাহলে ত্বকের পুষ্টির ঘাটতি যেমন দূর হয়, তেমনি ত্বকের বন্ধ হয়ে যাওয়া ছিদ্রগুলিও খুলতে শুরু করে। ফলে স্বাভাবিকভাবেই ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়তে শুরু করে।

হবে না ক্যানসার

আমে আরও আছে কুয়েরসেটিন, আইসোকুয়েরসেটিন, অ্যাস্ট্রাগেলিন ফিসেটিন, ফলিক অ্যাসিড, মাথাইল গ্যালেট প্রভৃতি উপাদানগুলি কোলোন, ব্রেস্ট, লিউকেমিয়া এবং প্রস্টেট ক্যান্সারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।

রক্তশূন্যতা কমায়

আমে প্রচুর পরিমাণ আয়রন থাকার কারণে এটি রক্তে লোহিত রক্তকণিকার উৎপাদন বাড়িয়ে রক্তশূন্যতা রোগের প্রকোপ কমিয়ে দেয়।